ফাঁসির আদেশ জারির ১৪ বছর পর রেহাই পেলেন হত্যাকারী আসামি হুমায়ুন কবির। ২০০৬ সালের এপ্রিলে ৮ বছরের এক স্কুলছাত্রীকে হত্যার দায়ে তার ফাঁসির আদেশ হয়। আর এই আদেশ হয় বিচারিক আদালতের রায়ে। হুমায়ুন কবির কুমিল্লার লাকসাম পৌরসভার বাসিন্দা।
২০০৪ সালে জুলাই মাসে হত্যাকাণ্ডের পরই তিনি গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। সেই থেকে ছিলেন কনডেম সেলে।
মঙ্গলবার আপিল বিভাগ হুমায়ুন কবিরের জেল আপিল অ্যালাউ করেন। অর্থাৎ এ মামলা থেকে খালাস পেলেন হুমায়ুন।
আরও পড়ুন : এক চুমুতেই ১০০ টাকা!
তার পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী এবিএম বায়েজিদ বলছেন, খালাস হওয়ায় আর কোনো মামলা না থাকলে তার এখন মুক্তি পেতে বাধা নেই।
নথি থেকে ঘটনার বিবরণী উল্লেখ করে এ আইনজীবী জানান, ২০০৪ সালের ৩০ জুন লাকসামের কনকশ্রী গ্রামের সাকেরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী বেলা সোয়া ১০টার দিকে স্কুলে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। কিন্তু স্কুল ছুটি হওয়ার পরও বাড়ি ফিরে না আসায় স্কুলে খোঁজ করে তার অভিভাবকরা। খোঁজ নিয়ে জানতে পারে শিশুটি স্কুলে যায়নি। এরপর আত্মীয়-স্বজনদের বাড়ি ও সম্ভাব্য স্থানে তাকে খুঁজে না পেয়ে ওই দিনই থানায় সাধারণ ডয়রি (জিডি) করেন শিশুটির চাচা মো. জসীম উদ্দিন।
ওই স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির প্রত্যক্ষদর্শী দুই শিক্ষার্থী স্কুলে যাওয়ার পথে মাথা ব্যথায় শিশুটিকে সাকেরা গ্রামের মাস্টার বাড়ির পাশে কালভার্টের উপর শুয়ে পড়তে দেখেন। এসময় আরও ৫ -৬ জন লোক ছিল সেখানে। ওই সময় হুমায়ুন কবির এসে সবাইকে তাড়িয়ে দিতে থাকে। প্রত্যক্ষদর্শী দুই শিক্ষার্থী যাওয়ার সময় শিশুটিকে বাড়ি যেতে বললে হুমায়ুন কবির শিশুটির মামা পরিচয় দিয়ে বলে, সে শিশুটিকে বাড়ি পৌঁছে দিবে। কিন্তু হুমায়ুন কবির বাড়ি পৌঁছে দেয়নি। পরে এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থার আবেদন জানিয়ে লাকসাম থানায় এজাহার দায়েরের পর ওই বছরের ২ জুলাই নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করে পুলিশ।
ওই বছরের ৪ জুলাই ট্রাক চালক হুমায়ুন কবিরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই দিনই কালভার্টের পাশে জঙ্গলের ভেতর থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর করা হয়।
ওএন/জি
- 77Shares
77